1. admin@isppbd.party : admin :
বুদ্ধিজীবী ছাত্র জনতা পার্টি

আমরা বিশ্বাস করি, একটি জ্ঞাননির্ভর, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য দরকার চিন্তাশীল নেতৃত্ব, সচেতন জনগণ এবং মেধাভিত্তিক সিদ্ধান্ত। আমাদের দল কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়, বরং ছাত্র, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষের ঐক্য ও শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে।

🔷 মূলনীতিসমূহ:

পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করলাম
প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ
সালাম ও শুভেচ্ছা নিরন্তর।
আমরা আজ — এক শুভক্ষণে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবে পরম করুনাময় আল্লাহর নামে সাংবাদিক সম্মেলনের
মাধ্যমে আমাদের নতুন রাজিৈতক দল “ ইনটেলেক্সুয়্যলস স্টুডেন্টস পিউপলস পার্টি” বাংলায় “ বুদ্ধিজীবী ছাত্র জনতা পার্টি”
সংক্ষেপে (আইএসপিপি) নামে আত্মপ্রকাশ করলাম।
আমাদের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ঃ- মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার (৩য় তলা) কলেজ গেট, মিরপুর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
মোঃ- ০১৫৫৮ ১২০৫৭৫/০১৮২২ ৮২৬৯৩৬। চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয় ৩৮৭/এ রাজাপুকুর লেইন বন্ধু নিবাস (৪র্থ তলা)
চট্টগ্রাম। ফোন- ০২ ৩৩৩৩৮৮৪৪৪ মোবাইল- ০১৮২২ ৮২৬৯৩৬ ।
আমরা বাংলাদেশের অনেকগুলি রাজনৈতিক দলের মেনিফেস্টো, গঠনতন্ত্রপর্যালোচনা করে লেটেস্ট একটি মতবাদ
নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে, তথা জাতির সামনে হাজির হয়েছি। যেখানে রয়েছে নতুন ধ্যান ধারনা, ব্যতিক্রমী কিছু
ফর্মুলা। কারণ পুরানো দিনের রাজনীতি এদেশে আর চলবেনা। যেমন ধরুন লেটেস্ট মোবাইল সেট, লেটস্ট মোবাইল সেট
বাজারে আসলে পুরাতন সেট আর কেউ ব্যবহার করতে চায় না। এই বারের ভোটে তার প্রমান পাবেন।
আমাদের লেটেস্ট ফর্মুলা সমুহ
১)বাংলাদেশের প্রত্যেক গ্রামকে স্যাটেলাইট শহর বানানো হবে। শহরে ফুটপাত জনগনের জন্য উন্মুক্তরাখা হবে।
রাস্তারপাশে দুবাই এর মত ঘন্টায় ৫টাকা করে পে পার্কিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারী আয় বাড়ানো।
২) প্রাদেশিক সরকার ব্যাবস্থা কায়েম করা হবে। প্রাদেশিক রাজধানী করা হবে ও গর্ভনর থাকবে প্রদেশের প্রধান।
৩) ছাত্র, উদ্যোক্তা,পরিবহন শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য ২% লাভে লোন দেয়া হবে।
৪) বাংলাদেশকে জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ ইংরেজিতে চবড়ঢ়ষব’ং উবসড়পৎধঃরপ ইধহমষধফবংয বানানো হবে।
৫) ল এন্ড অর্ডার এনশিওর করা হবে যার মাধ্য জনসমক্ষে শাস্তী দেয়ার বিধান করা এতে এক মাসেই সন্ত্রাস
দূর্ণীতি চিরতরে বন্ধ হবে।
৬) জাতীয়তা ঃ- সিটিজেন অব বাংলাদেশ । বাংলাদেশী প্রত্যেক নাগরিকের ২% লভ্যাংশ কর্তন ভীত্তিতে লোন দিয়ে
বাসস্থানের ব্যবস্থা করা
৭) ধর্মপক্ষতা-(মানে যার যার ধর্ম সে সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে) ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কোন
ধর্মই মানি না বা পালন করিনা
৮) অনলাইন ভোট দেয়ার ব্যাবস্থা করা। যার ভোট সে গোপনে অনলাইনে দিয়ে দিবে। এতে করে
মারামরি হানাহানি হবেনা
অর্থাৎ সংবিধান পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে যারা ক্ষমতায় গেছে সংবিধানকে তাদের মত করে
পরিবর্তন করেছে। মোটকথা সংবিধানকে স্যাটেলাইট যুগোপযোগী করতে হবে।
আমরা সবাই তাড়াতাড়ি ভোট করতে চাচ্ছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিšদ প্রশ্ন হচ্ছে নিজের দলে গণতন্ত্রনা থাকলে
পরিবারতন্ত্র, রাজতন্ত্র নিয়ে রাজনীতি এদেশে হবেনা। গণতন্ত্র কিভাবে প্রতিষ্ঠা করব। আমরা নির্বাচন নির্বচন করছি কিšদ
ভোট কেমনে কারচুপি হয়, কি ভাবে স্বচ্ছ ভোট করা যায়, তা নিয়ে ভাবিনা।
একদিনে সারা দেশে ভোট করলে এটা সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না , প্রাইমারী স্কুলের টিসারকে পুলিং অফিসার করে ভোট
করলে সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য হবেনা। এক বিভাগের নির্বাচন এক এক দিন করতে হবে। দেশের ৮ বিভাগের নির্বাচন ৮
দিনে হবে তাহলে সবাই ঐদিকে নজর দিতে পারবে।

আইএসপিপি’র প্রস্তাবিত মুল নীতিসমুহ
১) বাংলাদেশের নাম হবে “জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ” (চবড়ঢ়ষবং উবসড়পৎধঃরপ ইধহমষধফবংয}
আমরা প্রজাতন্ত্রী চাই না আমাদের দেশে কেউ প্রজা নয়। আমরা ডেমোক্রেট হতে চাই।
২) প্রাদেশিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা (প্রাদেশিক গভর্নর থাকবে) এতে রাজধানীর জনসংখ্যা চাপ কমবে।
৩) প্রাদেশিক রাজধানী প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমরা প্রত্যেক গ্রামকে স্যাটেলাইট শহর বানানো হবে। এতে
করে মানুষকে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসতে হবে না। শহরের সব সুবিধা যদি মানুষ তার গ্রামে পায়
তাহলে মানুষ শহরের দিকে ঝুকবেনা।
৪) জনগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা পরিবারতন্ত্র রাজতন্ত্র হতে দেয়া হবেনা। মা বাবা রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হলে
তার পরবর্তী মা বাবা পদে থাকা অবস্থায় কোন ছেলে মেয়ে ভাইবোন মন্ত্রী এমপি হতে পারবেনা।
৫) ধর্মপক্ষতা-(মানে যার যার ধর্ম সে সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে) ধর্মনিরেপক্ষতা মানে আমি
নিরেপক্ষ মানে আমি কোন ধমের পক্ষে নই। তার মানে কি দাড়ায় অর্থাৎ আমি কোন ধর্ম মানিনা। এ
ধরনের ভ্রান্ত ধারনা , সস্তা শ্লোগান দিয়ে অতীতে জাতীকে বোকা বানানো হয়েছে।
৬) জাতীয়তা- বাংলাদেশী সিটিজেন
৭) অর্থনীতি-ইসলামী অর্থনীতি/ ইসলামী ব্যাংকিং ইতোমধ্যে দেশে বিদেশে প্রসার লাভ করেছে।
৮) দূর্নীতির গোড়া কর্তন ( দুর্ণীতিবাজদের শাস্তী জেল জরিমানার আগে গলায় জুতার মালা দিয়ে
জনসমক্ষে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়াতে হবে) দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তী হলে দৃর্ণীতি, চুড়ি, ডাকাতি একমাসে বন্ধ
করতে পারব।
৯)) ল এড অর্ডার এনশিউর করা (দোষীদের শাস্তী জনসমক্ষে) সেনা বাহিনী সহ সকল আইন শৃঙ্খলা
বাহীনি আইন শৃঙ্খরা রক্ষা করার দায়িত্বে থাকবে।

মেনিফেস্টো
১) বুদ্ধিজীবী–আমাদের পার্টিতে যেসব বুদ্ধিজীবীরা টেলিভিশনে টকশোতে জাতীকে বুদ্ধি দেন সমালোচনা করেন তাদেরকে
আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়ীত্ত¡দিব না কেন। তাই আমরা বুদ্ধিজীবিদেরকে আমাদের পার্টিতে পদ দিব।
২) ছাত্র–আমাদের পাটিতে ছাত্রদের অংগ সংগঠন থাকবেনা। ছাত্ররা সরাসরি আমাদের পার্টিতে মুল কমিটিতে রাজনীতি
করার সুযোগ থাকবে। ছাত্ররা কেন একটি রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তি করবে? বড় একটি দলে ছাত্ররা ৩০ বছর ছাত্র
রাজনীতি করে ও এম পি নমিনেশন পাবেনা।
৩) এদেশে আমরা ছাত্রদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খেতে চাই, রাজনীতিতে ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে, ছাত্রদের লাশের উপড়
দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। আর এদেশে যারা ক্ষমতায় যায় তারা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে চায়। আমাদের পার্টি হবে
ছাত্রদের জন্য রাজনীতির বিশ^বিদ্যালয়। আমরা ছাত্রদেরকে ৫ টাকা দিয়ে সদস্য পদ দিব।
৪) জনতা– বলতে আমরা বুঝাতে চাই কর্মজীবী শ্রমজীবী পেশাজীবী মানুষ সব ভোটার উপযোগী মানুষ আমাদের পার্টিতে
৩৫ টি পেশা থেকে ৩৫ জন জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে থাকবে।
৫) আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে থাকবে ৭ জন, সকল কমিটি অনুমোদন দেয়ার ্এখতেয়ার একমাত্র স্থায়ী কমিটির।
জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে থাকবে ১৫১ জন। জেলা কমিটিতে থাকবে ১০১ জন। মহানগর কমিটিতে থাকবে ৮১জন।
উপজেলা কমিটিতে থাকবে ৭১জন। ইউনিয়ন কমিটিতে থাকবে ৬১জন। ওয়ার্ড কমিটিতে থাকবে ৫১জন।
৬) সরকারী চাকরী হবে ধর্মীয় জনসংখ্যা অনুসারে কোটায়। এই কোটা পদ্ধতিই একমাত্র সঠিক কোটা পদ্ধতি। সরকারী
চাকরী হবে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে। সরকারী চাকুরী এপয়েন্টমেন্ট এ লিখা থাকে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে আপনাকে নিযোগ
দেয়া হল। তবে এর মানে এই নয় যে, বিনা কারণে যখন তখন চাকরী চলে যাবে। যদি অন্যায় ভাবে চাকরী খেকে বরখাস্ত
করা হয় তাহলে মামলা করে চাকরী ফেরত পাবে। যদি
তা হয় চাকরী হারানোর ভয়ে অসদোপায় অবলম্বন করবে না এবং সরকারী চাকুরীর পিছনে ঘুষ নিয়ে ঘুরবে ন্।া
৭) সরকরী চাকরীতে যোগদানের বয়স হবে ৩৫ বছর এবং রিটায়ারমেন্ট এর বয়স হবে ৬৫ বছর। কারণ মানুষের গড় আয়ু
বৃদ্ধি পেয়েছে।
৮) শিক্ষা ব্যবস্থায় কর্মমুখী সিলেবাস প্রণয়ন করা হব্।ে পুথিগত বিদ্যার চাইতে প্রাকটিক্যাল বিদ্যায় তৈরী হতে হবে। ১ম
শ্রেণী থেকে কর্মমুখি শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। শুধু পুথিগত বিদ্যা নিয়ে এমবিএ এমএ পাশ করে চাকুরীর পিছনে ঘুরে লাভ
নাই। গ্রজেুয়েশনের পর থেকে কর্মমুখী শিক্ষা ৩ বছর।
৯) ঔষধের মূল্য কমাতে হবে। ডাক্তারী পেশাকে জরুরী অত্যাবশ্যকীয় সেবামুলক পেশা হিসাবে ঘোষণা করে বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক এর ভিজিট ফি কমাতে হবে। গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে নিতে হবে।
১০) রাস্তায় যানজট ও দূর্ঘটনা কমাতে হবে। ফুটপাথ পরিস্কার রাখতে হবে। ফুটপাথেই মানুষ চলাফেরা করবে রাস্তায় নয়।
ফুটপাথের ও রাস্তায় ভেনগাড়ী দোকানের স্থলে গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থা করে ঘন্টায় ৫ টাকা করে নিলে কোটি কোটি টাকা
পার্কিং খাতে সরকারের আয় হবে।
১১) ফিটনেস বিহীন একটি গাড়ী ও রাস্তায় চলাচল করতে পারবেনা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালালে মোবাইল কোর্টের
মাধ্যমে ৬ মাসের জেল । একেত্রে তদবীর, চাদাবাঝী ঘুষ থাকবেনা।
(সদস্য ফি ১০০ টাকা মাসে। ছাত্রদের সদস্য ফি মাসে ৫ টাকা।